Main
ন্যাড়া বটতলায় যায় ক'বার (Nyarā battalāy jāy k’bār?)
ন্যাড়া বটতলায় যায় ক'বার (Nyarā battalāy jāy k’bār?)
গৌতম ভদ্র, Gautam Bhadra
4.0
/
5.0
0 comments
Collection of articles on linguistic analysis of Bengali literature & book-reading habit of people from Bengal.
কথা বলা আর কথা শােনা, বই লেখা আর বই পড়া, ছবি আঁকা আর ছবি দেখা- এই সব ক্রিয়াকর্ম পরস্পর-নির্ভর, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটার টানে আরেকটা চলে আসে। নৈয়ায়িকরা বলবেন, সম্পর্কটা অন্যোন্য, সময় সময় কোনটাই বা অনুযোগী, আর কোনটাই বা প্রতিযােগী, সেটা ঠাহর করাই মুশকিল হয়ে ওঠে। এই পরস্পর-নির্ভরতা ও টানাপােড়েনের কথা খেয়ালে রেখে লেখাকে পড়া বা দেখাকে দেখানাের মতাে পরিচিত কাজগুলি উনিশ শতক তথা বিশ শতকের প্রথম কয়েক দশকে সাধারণ বাঙালি গৃহস্থের দৈনন্দিন জীবনে কী কী রূপ নিচ্ছিল, কোথায় কোথায় বা সেই রূপের অন্তরও ঘটছিল, এ-সবের অনুসন্ধানই বইটির উদ্দেশ্য।
বটতলার প্রেসে ছাপা বই-এর সূত্র ধরে কখনাে-বা আলােচনা ছড়িয়ে পড়ে পুথি খোঁজার 'পাগলামি' ও তালিকা তৈরি করার রাজনীতিতে, পাটা-পাতড়া আর প্রচ্ছদ ও আখ্যাপত্রের বিন্যাসের টুকিটাকিতে, কখনো- বা তা ছুঁয়ে যায় পুষ্পিকা বা পাদটীকা থেকে বিজ্ঞাপন ও ভূমিকায় নিজের কথাটুকু অন্যকে সাতকাহন করে শােনাবার তাগিদ বিচারে; আবার এই সব অভ্যাসকে ঘিরে চলে নানা চাপান-উতাের, গড়ে ওঠে রুচির বর্গবিচার, তৈরি হয় সাবেকি ও অধুনা, শ্লীলতা আর অশ্লীলতা, আধুনিকতা ও অনাধুনিকতার নানা ঔপনিবেশিক ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রতর্কের বুনট।
এই সন্দর্ভে তিনটি পর্বে অভ্যাস ও প্রতর্কের এহেন গতায়াত সাজানাে। নির্দিষ্ট কয়েকটি অভ্যাসকে ঘিরে কীভাবে প্রতর্ক গড়ে উঠেছে, প্রথমপর্বে আছে তারই ঐতিহাসিক বিবৃতি। ঐ বিবৃতি কী ধরনের নথিপত্র সমাহারের উপর নির্ভরশীল, কীভাবেই বা ঐ সমাহার বাছা হয়েছে, তার নানা ছড়ানাে-ছিটানাে সম্পূরক নমুনা, অভ্যাস ও প্রতর্কগুলিকে 'আর্কাইভস-কথা' শিরােনামে সন্নিবেশিত। তৃতীয় পর্বে সাজানাে আছে বই দেখা আর ছবি পড়ার উপর ভাষ্য সমেত একটি 'গেলেরি'; রকমারি বই-ছবি, নানা স্মৃতি-সাক্ষ্য ও প্রত্ননিদর্শনকে দেখা-দেখানাে ও পড়া-পড়ানাের মাধ্যমে বােঝবার চেষ্টা করা হয়েছে বাঙালির ইন্দ্রিয়ানুভূতি গড়ে ওঠার এক বিশেষ ঐতিহাসিক কালকে।
Comments of this book
There are no comments yet.